শীতে তিন উপজেলার বাজারে ৬০ ভাগ শাকসবজিই পদ্মার চরের।
মোঃ মানিক মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (মুন্সীগঞ্জ)ঃ মুন্সীগঞ্জ জেলার পদ্মানদী তীরবর্তী লৌহজং, শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা তিনটির বাজারের শাকসবজির প্রায় ৬০ ভাগই পদ্মার চরে উৎপন্ন। ৫/৬ বছর আগেও উপরোক্ত উপজেলার বাজার গুলোতে আসা সবজির প্রায় শতভাগই ছিল ঢাকা থেকে আমদানি করা। আর এখন পদ্মার চরে উৎপন্ন শীতের টাটকা শাকসবজি দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ঢাকা থেকে আমদানি করা সবজির সঙ্গে চরের সবজির পার্থক্য করা যায় অনায়াসেই। এসব তরতাজা সবজি কিনে একদিকে স্থানীয় ক্রেতা সাধারণ যেমন উপকৃত হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি চরের চাষীরা লাভবান হচ্ছে দেশের অন্য অঞ্চলের চাষীদের চাইতে কয়েকগুণ বেশি। তার কারণ, অন্য অঞ্চলের চাষীরা মধ্যসত্ত্বভোগী কিংবা পাইকারদের কাছে সস্তায় ক্ষেত্র বিশেষে নাম মাত্র মূল্যে শাকসবজি বিক্রি করে থাকে। অথচ তিন উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি স্থানীয় হাটবাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পারছে।
তাই তাদের আনন্দের সীমা নেই। পদ্মার চরে উৎপাদিত শীতের সবজির মধ্যে কী নেই! লাউ, লাউশাক, বেগুন, ধনেপাতা, কলই শাক, পিয়াজের হাই, টমেটো, মুলা, কাঁচা মরিচ, লালশাক, পালংশাক, কুমড়া, বউত্যাশাক, সর্ষেশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপির সমারোহ বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে সুলভেই। বেশ কয়েকটি বাজার জাতীয় দৈনিক আগামীর সময় পত্রিকার মুন্সীগঞ্জ জেলার স্টাফ রিপোর্টার সরজমিনে ঘুরে দেখেন, স্থানীয় ক্রেতাদের চরের সবজি কেনার প্রতি বেশি আগ্রহ। তাই বাজারের যে দিকে পদ্মার চরের সবজি বিক্রি হয় অধিকাংশ ক্রেতা সেইদিকে ছুটে যায়। উল্লেখ্য, এ বছর অসময়ে অতি বৃষ্টির কারণে দু’দুবার বীজতলা নষ্ট হয়। ফলে চাষীদের মধ্যে হতাশা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ বছর শাকসবজির বাম্পার ফলন হওয়ায় শেষ হাসিটা ফুটেছে কৃষকের মুখেই। এ প্রসঙ্গে কথা হয় লৌহজংয়ে উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়ন গ্রামের বাসিন্দা সেলিম দেওয়ানের সঙ্গে। তিনি বলেন, চরে উৎপন্ন শাকসবজি একদিকে যেমন তুলনামূলক সস্তা, অন্যদিকে ১০০% বিষমুক্ত।